কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া একটি
স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনার কম্পিউটার সাধারণত যতটুকু চাপ নিতে পারে, তার চেয়ে বেশি
ব্যবহার করতে গেলে কম্পিউটার এই লোড সামলাতে না পেরে হ্যাং হয়ে যায় বা আটকে থাকে।
তবে কোনো কারণ ছাড়াই পাওয়ার অন করলে যদি পিসি হ্যাং করে, তাহলে সেটা চিন্তার
ব্যাপার।
দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।
কেননা যদি অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার কারণে এটি হয়ে থাকে, তাহলে এটি কম্পিউটার
চালানোর জন্য মোটেই সুখকর হবে না। আর কম্পিউটার হ্যাং হয়ে থাকা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার।
কেউ নিশ্চয়ই চাইবেনা তার কম্পিউটার কাজ করা বন্ধ করে দিক। তাই দেরী না করে ডিসপ্লে
আসার পর কম্পিউটার ফ্রীজ হয়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান দেখে নিন।
➥কেন হ্যাং হয়?
কম্পিউটারের ভেতরে থাকা যন্ত্রপাতিতে
ত্রুটি দেখা দিলে বা কোনো কানেকশন লুজ হয়ে গেলে এই সমস্যা হতে পারে।
➥সমাধান
১.
প্রথম ধাপঃ কম্পিউটারের পাওয়ার অফ করে কেসিংটি খুলুন। এবার হার্ডডিস্ক,
সিডিরম এর ডাটা ক্যাবল এবং পাওয়ার ক্যাবল সাবধানে খুলে ফেলুন। এবং পুনরায় স্ব স্ব
জায়গায় সেগুলোকে ঠিকমতো কানেক্ট করে দিন। যদি প্রথমবার এই কাজ করেন, তাহলে সাথে
কোনো এক্সপার্টকে রাখার পরামর্শ রইলো।
২.
দ্বিতীয় ধাপঃ কম্পিউটারের মাদারবোর্ড থেকে রেম, প্রসেসর এবং পাওয়ার সাপ্লাই
কানেকশন ভালোমতো পরীক্ষা করে দেখুন। কোথাও কোনো ত্রুটি বা কানেকশন লুজ আছে কী না?
লুজ থাকলে ঠিকমতো লাগিয়ে পুনরায় চেক করুন।
৩.
তৃতীয় ধাপঃ অন্য একটি ভালো কম্পিউটার থেকে হার্ডডিস্ক, প্রসেসর, রেম এবং
অন্যান্য যন্ত্রপাতি এই মাদারবোর্ডে লাগিয়ে চেক করুন। যদি এরপরেও সমস্যা থেকে যায়,
তাহলে এটি আপনার মাদারবোর্ডের সমস্যা। মাদারবোর্ডটি চেঞ্জ করতে হবে।
নোটঃ
অনেক সময় সিপিউ এর পেছনে কীবোর্ড ও মাউস পোর্টের কানেকশন লুজ থাকলেও
কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
তো এই ছিলো আপনার কম্পিউটারের পাওয়ার
অন করার পর হ্যাং হয়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান। উপরে শুধু সাধারণ ট্রাবলশুটিং গুলো
বর্ণনা করা হয়েছে। উপরের নিয়মে সমস্যা সমাধান না হলে কোনো অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান কে
দেখিয়ে কম্পিউটারের ত্রুটিযুক্ত যন্ত্রপাতি ঠিক করিয়ে নিতে হবে।
Write your opinion